বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
বাংলাদেশে এই প্রথম কোন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের সমস্যাগুলো রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে আনা। ভোটারদের আকর্ষণ ও ভোট প্রাপ্তির আশায় বিরল এই পদ্ধতি ব্যবহার করায় সর্বত্র তার আলোচনা তুঙ্গে। ব্যতিক্রম পদ্ধতি ব্যবহারকারি হলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চÐিপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল করিমের ছেলে রশিদ মিয়া। তিনি এ বছর দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মোবাইল মার্কায় প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন দুবাই থাকার পর জনগণের সেবার মানসিকতা নিয়ে স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন। পৌরসভা নির্বাচনের গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি একাই নেমে পড়েন মাঠে, জনগণের দ্বারে দ্বারে। এ পর্যন্ত বেশ কিছু সমস্যার কাক্সিক্ষত সমাধানও করে দিয়েছেন। তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত দিরাই পৌরসভার বেশ কিছু অসহায় পরিবারে সাহায্য প্রদান, রোগির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়া, গত তিন মেয়াদে কোন কাজ হয়নি-এমন ভাঙ্গা রাস্তায় মেরামত করে দেয়াসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলশ্রæতিতে পৌরসভার প্রত্যেক গ্রামেই তার জনসমর্থন বেড়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে লিয়াজোঁ না থাকার পরও অদম্য সাহস নিয়ে বিজয়ের মানসে প্রতিদিনই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে চষে বেড়াচ্ছেন রশিদ মিয়া। এছাড়া তার বিভিন্ন কৌশলী কার্যক্রমে জনমত বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল প্রতীকের প্রতি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌরসভার প্রতিটি ঘরে ঘরে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি ভোটারদের কোন চাওয়া-পাওয়া থাকলে তা সাথে সাথেই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে আনা হচ্ছে, জয়-পরাজয় যাই হোক পরবর্তীতে যাতে করে ভুলে না যান। এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রায় শতাধিক সমস্যার কথা তার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এতে করে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ রয়েছে মোবাইল প্রতীকের রশিদ মিয়ার প্রতি। তাছাড়া সকল দলের নেতা ও ভোটারসহ প্রার্থীদের কাছে গিয়েও ভোট প্রার্থনা তার অন্যতম কৌশল। অষ্টম শ্রেণি পাস রশিদ মিয়া ব্যক্তি জীবনে ২ ছেলে সন্তানের জনক।
তিনি আশাবাদী, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তার বিজয় নিশ্চিত। তিনি পৌরবাসি সকলের দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন।